জাপান যাওয়ার উপায় ২০২৪

এশিয়ার মধ্যে উন্নত একটি দেশ জাপান যেখানে উচ্চ বেতনে অনেক নামিদামী কোম্পানীতে কাজের চাহিদা অনেক, কিন্তু কিভাবে যাবেন? আজকে আলোচনা করব জাপান যাওয়ার উপায় কি কি এবং জাপানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে।

জাপান কেন যাবেন?

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই জাপানী ভাষা শিখে জাপান যেতে অগগ্রহ প্রকাশ করে কিন্তু কেন? এর কারণ হল জাপানের আধুনিক জীবন যাপন এবং উচ্চ বেতনে মানসম্মত কাজ। আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের থেকে ৫ গুণ বেশি বেতনে বিভিন্ন সুনামধন্য কোম্পানীতে কাজ করতে পারবেন যেখানে রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা, বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়া কঠিন হলেও বেশ কয়েকটি উপায়ে বর্তমানে জাপানের ভিসা পাওয়া সম্ভব, চলুন জেনে নিই জাপান যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে। 

আরও পড়ুন: জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত? এবং সবচেয়ে বেশি বেতনের ৪ টি কাজ

জাপান যাওয়ার উপায় কি কি?

বাংলাদেশ থেকে জাপান ভিসা পাওয়া একটু কঠিন কিন্তু জাপান বাংলাদেশের ভাল বন্ধু রাষ্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি ভিসা নিয়ে জাপান যাওয়া যায় এসব ভিসা হল স্টুডেন্ট ভিসা, টেকনিক্যাল ট্রেনিং ভিসা, SSW ভিসা, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার ভিসা। 

আরও পড়ুন:  আমাদের মাধ্যমে জাপানি ভাষা কোর্স করে জাপান যেতে  চান? তাহলে এখানে রেজিস্ট্রেশন করুন

তবে এসব ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কন্ডিশন রয়েছে যেমন ভাষার দক্ষতা, স্কিল টেস্ট। জাপানের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক, ভাষা জানা থাকলে ভিসা পাওয়া যেমন সহজ তেমনি জাপানে যাওয়ার পরে কমিউনিকেশন করা এবং কোম্পানীতে কাজ করার সময় অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব। 

যাইহোক, আপনি এসব ভিসার মধ্যে যেকোন একটি ভিসাতে জাপানে যেতে চাইলে ভাষা দক্ষতার পাশাপাশি ভিসা প্রসেসিং এর জন্য মোটামুটি অঙ্কের টাকার প্রয়োজন, নিচে জাপানের ভিসার দাম কত এবং জাপানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আরও পড়ুন: সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন

SSW ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় 

Specified Skilled Worker (SSW) ভিসা বর্তমানে জাপানে যাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে এই ভিসার মাধ্যমে জাপানে গেলে একজন বিদেশী কর্মী জাপানিজ কর্মীর মতই বেতন এবং সূযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে তাই জাপান যেতে চাওয়া অধিকাংশ এই ভিসা বেছে নেন কিন্ত এই ভিসাতে জাপানে যেতে হলে বেশ কিছু শর্ত পুরুন করতে হবে যেমন জাপানী ভাষার দক্ষতা এবং স্কিল টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া, চলুন জেনে নেই Specified Skilled Worker (SSW) ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি যোগ‍্যতা প্রয়োজন। 

আরও পড়ুন:  আমাদের মাধ্যমে জাপানি ভাষা কোর্স করে জাপান যেতে  চান? তাহলে এখানে রেজিস্ট্রেশন করুন

এই ভিসার  জন্য মূলত ৩ রকমের যোগ‍্যতা  প্রয়োজন হয়ে থাকে প্রাথমিক ভাবে আপনাকে ssc পাস থাকতে হবে, আপনি যদি ssc পাস করে থাকেন তাহলে যেকোনো জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জাপানী ভাষার ভাষা শিখা শুরু করে দিতে পারেন তবে জাপানী ভাষার লেভেল N4 বা JFT প্রয়োজন হবে প্রাথমিক ভাবে N5 থকে শুরু করা ভালো। 

ভাষা শিখা হয়ে গেলে জাপানী ভাষার পরীক্ষা JLPT দিয়ে পাশ করতে হবে এই পরীক্ষাতে পাশ করতে পারলে পরবর্তীতে আপনি যে কাজের ভিসা নিয়ে জাপানে যেত চান সেই কাজের স্কিল টেস্ট দিত হবে এবং এই স্কিল টেস্টে পাশ করতে পারলেই এই ভিসা পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: জাপানি ভাষা শেখার সহজ উপায়  

জাপানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে জাপানের ভিসা পাওয়া যায়, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, টেকনিক্যাল ইন্টার ভিসা, SSW ভিসা এবং ইন্টারন্যাশনাল জব ভিসা।

প্রথমে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কোন ক্যাটাগরির ভিসা পেতে পারেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে, তারপর সেই ভিসার জন্য কতটুকু জাপানি ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন সেটা কমপ্লিট করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। দূতাবাসে শর্ট ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে ভিসা পেতে পারবেন,

এসব কিছুর জন্য আপনি ভালো মানের কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

জাপানের ভিসার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা হচ্ছে SSW এই ভিসার রেশীও অনেক ভালো হওয়ার কারণে সহজেই এই ভিসা নিয়ে জাপানে যাওয়া সম্ভব। 

জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

উচ্চ বেতন এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাপানে বসবাস করার মাধ্যম হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরী আছে যেমন কারিগরী প্রশিক্ষণার্থী ভিসা যেটাতে প্রশিক্ষণ শেষ করে  ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় এবং ইন্টারন্যাশনাল জব ভিসা, এই ভিসা পাওয়ার জন্য দেশ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পূর্ণ করতে হবে এবং জাপানের কোন কোম্পানিতে চাকরির আবেদনের মাধ্যমে এই ভিসা পেতে পারবেন।

এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে গিয়ে পড়াশোনা শেষে কোন নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করার পর  ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় যেটা মূলত ইন্টারন্যাশনাল জব ভিসা। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই জাপানি ভাষায় দক্ষ হতে হবে এবং কোন নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আরও পড়ুন: জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং জাপানে যেতে কত টাকা লাগে

জাপানের ভিসার দাম কত

বাংলাদেশ থেকে জাপানের ভিসা আবেদনের জন্য কোন ফি দিতে হয় না, কিন্তু কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করার জন্য বেশ কিছু টাকা প্রয়োজন হয়। এজেন্সি ভেদে টাকার পরিমান কম বেশি হয়ে থাকে। নিম্নে আমরা জাপানের ভিসা পাওয়ার জন্য কত টাকা প্রয়োজন হয় তা সম্পর্কে জানবো। 

জাপানের TITP ভিসার দাম৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
জাপানের SSW ভিসার দাম৫ থটকে ৬ লক্ষ টাকা।
জাপানের ইন্টারন্যাশনাল জব ভিসার দাম১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
জাপানের স্টুডেন্ট ভিসার দাম১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় এবং ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম

জাপান টুরিস্ট ভিসা খরচ

জাপানের টুরিস্ট ভিসার খরচ আপনার জীবনযাত্রার বিলাসিতার উপরে  নির্ভর করে, মানে আপনি যদি দামী কোন হোটেলে থাকতে চান তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে। 

হিসাব করে বলতে গেলে একজন মানুষের জাপানে টুরিস্ট ভিসার খরচ প্লেন ভাড়া, হোটেল ভাড়া  এবং ১৫ দিন থাকা খাওয়া সহ দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

তবে এই খরচ আপনার এজেন্সির উপর ভিত্তি করে কমবেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন:  আমাদের মাধ্যমে জাপানি ভাষা কোর্স করে জাপান যেতে  চান? তাহলে এখানে রেজিস্ট্রেশন করুন

শেষ কথা: আপনি যেভাবেই জাপান যেতে চান না কেন আপনার দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে কত খরচ হবে সে সম্পর্কে আগে থেকে ধারণ নিতে হবে। যাইহোক আশা করি এই পোস্ট থেকে জাপান যাওয়ার উপায় এবং জাপানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন অথবা ইনবক্স করতে পারেন আমাদের FujiTechBD ফেসবুক পেইজে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? ও ভিসা আবেদন

FAQ প্রশ্ন উত্তর।

জাপান যেতে কত টাকা লাগে?

ভিসার ক্যাটগরীর উপরে ভিত্তি করে জাপান যাওয়ার টাকার পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে, বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।

জাপানি ভাষা শিখতে কত টাকা লাগে?

জাপানী ভাষা N5 কোর্স করতে ১৫ হাজার টাকা লাগে।