ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ এবং কম খরচে ইউরোপ ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা, ইউরোপ মহাদেশে জীবনযাত্রার মান এবং কাজের বেতন ভাল হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ইউরোপে যেতে চান কিন্তু সঠিক এজেন্সি খুজে না পাওয়ার কারণে অনেকেই হতাশ হন আজকে আপনাদের জানাবো ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ ঠিকানা এবং কম খরচে ইউরোপ ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
এই পোস্ট থেকে যা জানতে পারবেন।
ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ
বাংলাদেশে অনেক ভিসা এজেন্সি রয়েছে যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভিসা প্রসেসিং করে থাকে। তবে এসবের একটি ভাল এজেন্সি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনার ইউরোপ যাওয়ার জন্য ভিসা নিয়ে কোন সমস্যা না হয়।
একটি ভাল মানের ইউরোপ ভিসা এজেন্সি নির্বাচন করার জন্য কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে যেমন: তাদের অভিজ্ঞতা, কাস্টমার রিভিউ এবং তাদের সফলতার হার, এই ৩ টি দিক লক্ষ রেখে যদি আপনি একটি ভিসা এজেন্সি নির্ধারন করেন তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে ইউরোপের ভিসা নিয়ে সহজেই আপনি ইউরোপ যেতে পারবেন। তারা আপনার কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস সম্পর্কে আপনাকে অবগত রাখবে। এতে করে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে এবং ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিচে কয়েকটি ভাল মানের ইউরোপ ভিসা এজেন্সি কম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১. এ খায়ের ইন্টারন্যাশনাল
লাইসেন্স নম্বর ২২৩৫,
ঠিকানা: ১২২ ডিআইটি৷ এক্সটেনশন রোড, ভাই ভাই ম্যানশন (জি ফ্লোর), ফকিরাপুল , ঢাকা-১০০০ কন্টাক্ট নম্বর: ০১৭১১৩৬৪০৭৪
২. এ এ টি অভারসিস
লাইসেন্স নম্বর ২৩৮৩,
ঠিকানা: প্যালাডিয়াম মার্কেট, ২য় তলা, স্যুট ২/এ, বাড়ি নং ১, রোড নং ৯৫, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২ কন্টাক্ট নম্বর: ০১৬১১৪২৪৪৮
৩. অ্যারিট গ্লোবাল সার্ভিস
লাইসেন্স নম্বর ২২৮৮,
ঠিকানা: ৪৮ নয়াপল্টন, ৩য় তলা, ঢাকা-১০০০
কন্টাক্ট নম্বর: ০১৭৫৪৫০২০২৬
৪. আহলান সার্ভিসেস লিমিটেড
লাইসেন্স নম্বর ২২৭১,
ঠিকানা: আরএস ভবন (৫ তলা), রুম নং ৬০৫, ১২০/এ মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
কন্টাক্ট নম্বর: ০১৬১৩০০৩৩৬২৮
৫. এ গনি অভারসিস লিমিটেড
লাইসেন্স নম্বর ২২৯৬,
ঠিকানা: এইচ-৮২, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, বনানী, ঢাকা-১২১৩
কন্টাক্ট নম্বর: ০১৭১৬৬১১৩১৮
তবে অবশ্যই যেকোনো এজেন্সির সাথে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে লেনদেন করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় এবং ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ এর ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন ছিলো কিন্তু বর্তমানে এটা অনেক সহজ হয়েছে এর কারণ বাংলাদেশে এখন অনেক দক্ষ ভিসা এজেন্সি তৈরি হয়েছে, তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনার সমস্থ কাগজ পত্র দিয়ে সঠিক ভাবে আবেদন করলে অনেক সহজেই ইউরোপ এর ভিসা পেতে পারেন তবে এজন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক ভিসা এজেন্সি বাছায় করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আপনি ইউরোপ এর বেশ কিছু দেশের ভিসা সহজে পেতে পারেন এসব দেশের মধ্যে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারলন্ড, ইতালি, অন্যতম।
কম খরচে ইউরোপ ভিসা পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের ভিসা কঠিন কিছু না যদি আপনি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন, আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি উপায় শেয়ার করবো যে উপায়ে আপনি সহজেই ইউরোপের ভিসা পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: লাটভিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এবং যে ৩ উপায়ে লাটভিয়া যেতে পারবেন
কম খরচে ইউরোপ ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ইউরোপের কয়েকটি দেশের কিছু কোম্পানীর ওয়েবসাইট এবং জব পোর্টাল খুজে বের করতে হবে যেগুলো ওয়েবসাইট থেক সরাসরি জবের জন্য আবেদন করা যায়, এসব ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে হবে তারা কি কি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী খুজতেছে যদি আপনার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনার CV এবং দক্ষতার সার্টিফিকেট দিয়ে জবের জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পরে কোম্পানী থকে মেইলের মাধ্যমে ইন্টারভিউ এর জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে, আপনি ইন্টারভিউ দিয়ে যদি সে কোম্পানীতে চাকরির জন্য নির্বাচিত হন তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপে কোম্পানি থেকে কাজের অফার লেটার সহ ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আপনার কাছে পাঠাবে আপনি সেগুলো দিয়ে ভিসার আবেদন করবেন। এই উপায় অবলম্বন করে আপনি অনেক কম টাকায় ইউরোপের ভিসা পেতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ একটু উন্নত জীবন যাপন এবং উচ্চ বেতনে কাজের জন্য ইউরোপে যেতে চান তবে এসব ভিসা পেতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়, অধিকাংশ মানুষই জানে না ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে সে জন্য তারা বিভিন্ন ভিসা এজেন্সির শরণাপন্ন হয়ে থকেন কিন্তু কিছু অসাধু এজেন্সি এসব মানুষের থেকে নেক টাকা হাতিয়ে নেই তাই ইউরোপ যাওয়ার আগে অবশ্যই জানা উচিত ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।
ইউরোপের সেঞ্জেন ভুক্ত দেশে যেতে ১০ থেক ১২ লক্ষ টাকা লাগে তবে আপনি সেঞ্জেন ভিসা দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ করার বা ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।
সেঞ্জেন ভুক্ত দেশ ব্যতীত ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয় তবে ভিসা এজেন্সির উপর ভিত্তি করে টাকা কিছু কম বেশি খরচ হতে পারে।
আরও পড়ুন: লুক্সেমবার্গ যেতে কত টাকা লাগে এবং লুক্সেমবার্গ নাগরিকত্ব পাওয়ার 3 টি উপায়
ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ
ইউরোপের দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে যাওয়া অধিকাংশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন। এর কারণ হল ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান এবং পড়াশোনা শেষে ভাল ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। কিন্তু ইউরোপের অধিকাংশ দেশে স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া একটু জটিল, এটা আর সহজ হলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগের দ্বার খুলে যায়। তবে ইউরোপের কিছু কিছু দেশে বাংলাদেশ থেকে সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশে যাওয়া যায় যেমন: জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এসব দেশের স্টুডেন্ট ভিসা সহজেই পেতে পারেন।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে যাওয়ার বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে, যা তুলনামূলক নিরাপদ এবং সহজ। বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এ নাম মাত্র খরচে ইউরোপে পড়াশোনার জন্য যাওয়া যায়।
এছাড়াও বিএমইটি (BMET) ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও কল্যাণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের সাথে কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা উন্নয়নের চুক্তির মাধ্যমে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায় এবং কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন
শেষ কথা: আশা করি আজকে ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ এবং কম খরচে ইউরোপ ভিসাপাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন অথবা ইনবক্স করতে পারেন আমাদের FujiTechBD ফেসবুক পেইজে।
আরও পড়ুন: ক্রোয়েশিয়া ভিসা দাম কত? কম খরচে কিভাবে ক্রোয়েশিয়া যাওয়া যায়
জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে ভিসা পাওয়া যায়?
পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, এবং জার্মানির মতো দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম খরচে ভিসা পাওয়া যায়।
ভিসা আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন?
পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ফ্লাইট এবং হোটেল বুকিং, এবং ভ্রমণ বীমা সাধারণত প্রয়োজন হয়।
Hello